করোনাভাইরাসে দেশে গত কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় আজও কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা আগের মতোই ২৯ হাজার ১২৭ জনে অপরিবর্তিত রয়েছে।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল করোনায় সর্বশেষ মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে টানা ২৫ দিন করোনায় মৃত্যুশূণ্য দিন পার করেছে বাংলাদেশ। রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ১২ জনে। শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৮৮৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৩ হাজার ৮১৮টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৬৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৪১৯ জন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় গত বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
২০২১ সালের ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়।
এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।